1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২৭ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

হত্যা মামলার প্রধান আসামী প্রকাশ্য ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ গ্রেফতার না করার অভিযোগ

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৮ জুন, ২০২১
  • ১২৪৭ বার পঠিত

স্টাফ রিপোটার: কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর হত্যার মামলার প্রধান আসামী প্রকাশ্যে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হত্যার ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও রহস্য জনক কারনে গ্রেফতার করতে পারছে না প্রধান আসামী সাইফুলকে কমলগঞ্জ থানা পুলিশ। এজাহারভুক্ত আসামী শেফী বেগম (৪০), মিজান মিয়া (২০) ও বাদশা মিয়া (৩৫) কে গ্রেফতার করলেও হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী মূল আসামী স্বামী সাইফুল ইসলামকে রহস্যজনক ভাবে গ্রেফতার করছে না বলে পরিবারের অভিযোগ। গত ১৩জুন ভোররাতে দীপা চৌধুরী (২৮) নামের এক গৃহবধুর মৃত দেহ গোবিন্দপুর গ্রামের স্বামী সাইফুল ইসলামের বড় বোনের বাড়িতে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার করে কমলগঞ্জ থানা পুলিশ। স্বামীর বড় বোনের বাড়ির লোকেরা দাবী করেছেন দীপা চৌধূরী আত্মহত্যা করেছে। এদিকে পরিবার সদস্যরা শুরু থেকে বলছিলেন এটি আত্মহত্যা নয়, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা। নিহত দীপা চৌধুরীর বোন মৌমিতা চৌধুরী বাদী হয়ে এ ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যা উল্লেখ করে গত ১৫ জুন মৌলভীবাজার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্র্যাট আদালতে গৃহবধুর স্বামী সাইফুল ইসলামসহ ৬ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে গত ১৭ জুন (বুধবার) রাতে পুলিশ ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামী শেফী বেগম (৪০), মিজান মিয়া (২০) ও বাদশা মিয়া (৩৫) কে গ্রেফতার করে মৌলভীবাজার আদালতে প্রেরণ করেন। জানা যায়, মুন্সীবাজার ইউনিয়নের বিক্রমকলস গ্রামের সাইফুল ইসলামের স্ত্রী দীপা চৌধুরী। সে যুক্তরাজ্যে বসবাস করতো। সেখানে তার প্রথম স্বামী ও প্রথম পক্ষের এক ছেলেও রয়েছে। প্রথম স্বামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের পর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে সাইফুল ইসলামের সাথে আদালতের মাধ্যমে তার দ্বিতীয় বিয়ে হয়েছিল। এ বিয়ে নিয়ে সাইফুল ইসলামের পারিবারিকি দ্বন্দ শুরু হলে সে স্ত্রী দীপা চৌধুরীকে গোবিন্দপুর গ্রামের স্বামীর বড় বোন শেফী বেগমের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন দীপা চৌধুরী। ১৩ জুন ভোর রাতের কোন এক সময় গৃহবধূ দীপা চৌধুরী রান্না ঘরের চালার সাথে পরনের ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঘরের ভিতর ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনার দিন সকালে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক শাহ আলমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে গৃহবধূ দীপা চৌধুরীর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য লাশটি মৌলভীবাজার সদর পাসপাতালে পাঠায় এবং ঘটনাস্থল থেকে গৃহবধুর মোবাইল ফোন, ব্যাগ ভর্তি কাপড় জব্দ করা হয়।
ঘটনার পর পরই সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে গৃহবধুর বোন মৌমিতা জানায়, সাইফুল প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। এই প্রেমের অভিনয় করে সাইফুল তাকে বিয়ে করে। তাকে প্ররোচনা দিয়ে দীপার একাউন্টের টাকা তুলে নিয়ে সে আত্নসাৎ করে। এমন কি পরিবারের ঘরে রাখা সোনার অলংকার সব নিয়ে নেয় । আমার বোন দীপা আমাকে বলেছে স্বামী সাইফুল ইসলাম সেগুলো বিক্রয় করে ফেলেছে। আমি মনে করি এটি আত্মহত্যা নয় এটি পরিকল্পিত হত্যা। এ ছাড়াও মৃত্যুর ৩দিন পূর্বে আমার সাথে ফোনে আলাপকালে বলেন, তার স্বামীর নিকট কিছু বখাটে ছেলে আসা যাওয়া করত। এ সময় তারা দরজা বন্ধ করে কি যেন পরামর্শ করতো। এ বিষয়ে দীপা চৌধূরী জিজ্ঞাস করলে তার স্বামী কোন উত্তর দিতেন না। সব সময় দীপা ভয়ে ভয়ে থাকত। এ ছাড়া মৃত দীপা চৌধূরীর সুরৎহাল রিপোর্টে ঘাড় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। হত্যার আলামত সারা শরীরে রয়েছে। আমরা আসামী সাইফুল ইসলাম কোথায় আছে খোজ খবর নিতে গেলে মামলার আইও শমসেরনগর পুলিশ ফাড়ির এসআই শাহআলম মোবাইল ফোনে বলেন – কমলগঞ্জ থানার এসআই পবিত্র তাকে বলেছেন আমরা সাইফুল ইসলামের বাড়ি বিক্রমকলসে গিয়ে ভাঙ্গচুর করেছি । কমলগঞ্জ থানার এসআই পবিত্র সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি জানার জন্য । আমরা এস আই পবিত্রের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা তদন্তে যাচ্ছি । এসআই পবিত্র পরবর্তীতে তদন্ত করে এই অভিযোগের সত্যতা পাননি বলে জানান।
মামলার বাদী ও তার পরিবারের অভিযোগ, আসামী পক্ষ বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে নিরব থাকার হুমকি ও প্রধান আসামী সাইফুল ইসলামের খোজ খবর না নিতে ও বাড়ীর আশ পাশে না যাওয়ার হুমকি অব্যাহত রয়েছে বলে জানান। শুধু তাই নয় বাদী পক্ষকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানীর তৎপর রয়েছে।
শমসেরনগর পুলিশ ফাড়ির এসআই শাহআলম মামলার বাদী মৌমিতা চৌধুরীকে ফোনে বলেছিলেন মামলার প্রধান আসামী সাইফুল ইসলামের বাড়িতে তারা গিয়ে ভাঙ্গচুর করেছেন তার নিকট অভিযোগ এসেছে এবং তাদের উপর মামলা হতে পারে । এ ব্যাপারে দৈনিক মৌমাছি কণ্ঠ পত্রিকার পক্ষ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন- আমি এই ব্যাপারে কিছুই জানিনা। বিষয়টি জানেন কমলগঞ্জ থানার এসআই পবিত্র। তিনি সাইফুলের বাড়িতে অভিযোগের তদন্তের জন্য গিয়েছিলেন।
কমলগঞ্জ থানার এসআই পবিত্র সাথে মোবাইল ফোনে দৈনিক মৌমাছি কণ্ঠ পত্রিকার পক্ষ থেকে ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন- আমি ঐ দিন ডিউটিতে ছিলাম । তদন্ত স্যার আমাকে ফোনে সাইফুল ইসলামের বাড়িতে মামলার বাদী পক্ষ ভাঙ্গচুর করছে অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে বলেন । আমি গিয়ে দেখি অভিযোগ সত্য নয় ।
এব্যাপারে কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়ারদৌস হাসান দৈনিক মৌমাছি কন্ঠ‘র এর সাখে আলাপকালে বলেন, আসামী গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। মামলার বাদী পক্ষ আমাদেরকে সহযোগীতা করুক। প্রকাশ্যে কোথায়ও আসামী দেখা গেলে আমাদেরকে খবর দিলে আমরা গ্রেফতার করবো।

এনিয়ে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া এর সাথে কমলগঞ্জ থান পুলিশের রহস্যজনক কারনে প্রধান আসামী গ্রেফতার করছেনা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আসামী প্রকাশ্য ঘোরে বেড়াচ্ছে আমাকে কেহ অভিযোগ করেনি আমি আপনার নিকট থেকে এই মাত্র শুনলাম, বিষটি আমি গুরুত্ব সহকারে দেখছি বলে আশার বানী শুনালেন। অপর এক প্রশ্ন মামলার বাদী ও তার পরিবার আসামী পক্ষের হুমকি-দামকি অভিযোগ নিয়ে তিনি দৈনিক মৌমাছি কন্ঠকে বলেন- এই বিষয়টি আমার জানা নাই তবে আমি খতিয়ে দেখবো এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেবেন বলে আশার বানী শুনালেন।

 

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..