শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোটার: বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারি সমিতি মৌলভীবাজার জেলা শাখা কর্মবিরতী পালন করায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়সহ জেলার ৭টি উপজেলায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। মৌলভীবাজার কালেক্টরেট ভবনের পাশে পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুয়ায়ি আজ ১ মার্চ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলে। অপরদিকে আগামি ২৪ মার্চ পর্যন্ত বন্ধের দিন ছাড়া প্রতিদিন ৮ঘন্টা তারা এই কর্মসূচি পালন কববেন বলে কেন্দ্রীয় ভাবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। দেশ ব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে মৌলভীবাজারে দাপ্তরিক কাজ বন্ধ রেখে সদস্যরা হাজিরা আলাদা সিটে সংরক্ষণ করে এ কর্মসূচি পালন করছেন। জেলা প্রশাসনের কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ও সহকারি কমিশনার(ভূমি) কার্যালয়ে কর্মরত তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারিদের পদবী, পরিবর্তন ও বেতন গ্রেড উন্নীত করন। সমিতির কার্যবিবরণীতে উল্লেখ করা হয়, বিষয়টি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী ২০১১,২০১৩,২০১৮ এবং ২০২০ এ দাবিগুলো অনুমোদন করেছেন। কিন্তু অদ্যাবদি আলোর মুখ দেখেনি। প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে অনুমোদন দিলেও তা এখনও আলোর মুখ দেখেনি কেন তা খতিয়ে দেখা দরকার। কার স্বার্থে এ দাবিটি বাস্তবায়ন হচ্ছে না? কর্মবিরতী চলাকালে দেখা যায়, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে ক্যাডারের সব কর্মকর্তারা বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়েছেন। এই বিব্রতকর অবস্থায় এড়াতে নিজ নিজ অফিসে তাদের অনেককেই পাওয়া যায়নি। কিছু আমলার কারণে এই অচলবস্থার জন্য দায়ি বলে আন্দোলনকারিরা বলছেন। আসলে কি কারণে এই ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে ও সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে কারো ইশারায় এটি করা হচ্ছে কি-না খতিয়ে দেখা দরকার বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। তাই এর বাস্তবায়ন ঘটিয়ে গেজেট প্রকাশের দাবিতে তারা আন্দোলন করছেন। কর্মবিরতী পালন কালে জেলা প্রশাসনের অধীনে পরিচালিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতসমুহে বিচার কার্য বন্ধ হয়ে যায়। চলেনি ভ্রাম্যমান আদালতের কার্যক্রম। মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সভাপতি এম এ কাওছারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মবিরতী কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করেন অমলেন্দু দেবনাথ, নীরেন্দ্র কুমার দেবনাথ,তপন কান্তি ধর,মুসফিকুর রহমান,কমলপদ দে,জহির উদ্দিন,আবুল হাসেম,বিদ্যামনি সিংহ, খুরশেদ আলম,সুব্রত ধর,দীপংকর চক্রবর্তী,বাছির মিয়া,মানসুর আলম, অমিত লাল গোপ,সালমান বখস,আব্দুর রব,তছলিমা বেগম,বাদশা মিয়া,প্রতাপ চন্দ্র দাশ,সব্যসাচী রায়, সিতু বখত, আজিজুর রহমান, শওকত আলী ও আলমগীর প্রমূখ।